ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ও রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফুলপুর উপজেলার কুরিয়ার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির ৬ যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ সদস্যরা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছেন। মাহিন্দ্রাটিতে চালকসহ ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আহত ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার লুৎফুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।

অন্যদিকে, সন্ধ্যার কিছু আগে তারাকান্দা উপজেলার কোধালধর এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন– ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের বরাটিয়া গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৮৫), ফুলপুর উপজেলার বউলা ইউনিয়নের মদীপুর সুতারপাড় গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান (১৫) এবং অটোরিকশার চালক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের শুইলাম বুধবারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম (৩৫)।

তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন অটোরিকশার চালক।

ডার্ক টু হোপ/এসএইচ