সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় ও সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ মাঠে।
নামাজ শেষে শাহধসঢ়; সুরেশ্বরী (রা.) অনুসারীরা ভুনা খিচুড়ি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে তারা কোনো পশু কোরবানি দেন না।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফ সূত্র জানায়, সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরে অন্তত ৩০ হাজার মুসলমান শাহধসঢ়; সুরেশ্বরীর (উদযাপিত) অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফের গদীনিশীন পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা পালন করে থাকি। নিজের ভেতর যে পশুত্ব থাকে, সেই পশুকে কোরবানি করাই মনে করি কোরবানি। আমরা মনে করি পশু কোরবানি প্রকৃত কোরবানি নয়। নিজের ভেতর যে পশুত্ব থাকে, সেই পশুকে কোরবানিই আমাদের লক্ষ্য।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফের প্রধান গদীনিশীন পীর সৈয়দ কামাল নূরী বলেন, বাবা সুরেশ্বরী একটি নিয়ম রেখে গেছেন। সেই হিসেব অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে যায়। তাই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতরসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ