আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে তিনি ‘অপমানবোধ’ করছেন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তবে এই পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক এবং দেশটির কার্যনির্বাহী ক্ষমতা মূলত প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার কাছেই থাকে।
৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই। ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন—এটাই দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমার থাকা উচিত। আমি এই পদটি ধরে আছি সাংবিধানিক কারণে।
রাষ্ট্রপতি জানান, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি, প্রেস বিভাগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বের সব বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি ছিল, আর এক রাতের মধ্যে হঠাৎ সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায় যে,সম্ভবত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমি ভীষণ অপমানিত বোধ করেছি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিকৃতি নিয়ে তিনি ইউনুসকে চিঠিও দিয়েছেন, তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমার কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউনূসের প্রেস উপদেষ্টারা মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে। বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস আছে, তবে সেনাপ্রধান বলেছেন তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চান।
সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, যদিও কিছু ছাত্র বিক্ষোভকারীরা প্রথমদিকে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক দল আর তার পদত্যাগ দাবি করেনি।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ