Publish: Saturday, 6 December, 2025, 10:47 PM

পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আশা জাগাতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের মাঝে। গেল সপ্তাহের শেষেও সূচক এবং লেনদেনের নিম্নমুখী ধারায় ছিল শেয়ার বাজার। আর কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিষ্ক্রয় হয়েছেন, প্রায় ৬৭ হাজার বিনিয়োগকারী।
২৪ এর অভ্যুত্থান পর বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও, সেই স্বপ্নে চিড় ধরতে বেশি সময় লাগেনি। দেশের পুঁজিবাজার চলছে আগের মতই দোলচলে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ডিএসইএক্সের সূচক পতনের মধ্য দিয়ে শেষে হয়েছে। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৮৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ৩০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইতে ৩৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৪১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির ঘাটতির কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চরম ভাটা পড়েছে। যার ফলে নতুন বিনিয়োগে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, বিনিয়োগ কোনোদিন একটা অনিশ্চিত পরিবেশে হয় না। সেটা আপনার স্টক মার্কেটে বিনিয়োগী হোকস ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ হোক, আবার ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ হোক, আনসার্টেন পরিবেশে কেউ বিনিয়োগ করে না। সুন্দরভাবে একটা নির্বাচন হয়, একটা লং টার্ম গভর্নমেন্ট আসে। তাহলে আমার মনে হয় অনেক লোক বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে, পরিবেশ সুস্থ সঠিক হলে তারা বিনিয়োগ করবে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ