কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে অপহরণের শিকার চার শিশু পাঁচ দিনেও উদ্ধার হয়নি। ঘটনার চার দিন পর গত বুধবার তাদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
অপহরণের শিকার চার শিশু হলো– মো. মামুন (১৭), আনোয়ার হোসেন (১৪), গিয়াস উদ্দিন (১৫) এবং আবু বক্কর ছিদ্দিক (১৩)। তাদের বাড়ি বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলখালী পূর্ব পাড়ায়। স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় হঠাৎ পাহাড় থেকে নেমে আসা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ছয় শিশু-কিশোরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দুজন পালিয়ে আসতে পারলেও চার শিশু এখনও নিখোঁজ।
অপহরণের শিকার আনোয়ার হোসেনের বাবা আবুল হাসেম গতকাল জানান, বুধবার বিকেলে তার মোবাইল ফোনে একজন কল করে মুক্তিপণ বাবাদ দুই লাখ টাকা চেয়েছে। অন্য শিশুদের পরিবারকেও একই ভাবে কল করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে অপহরণকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফেজ আহমদ বলেন, ‘অপহৃতদের পরিবারকে অপহরণকারীরা মোবাইলে ফোন দিচ্ছে এবং দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করছে।’
চার শিশুকে অপহরণের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা টেকনাফ–মেরিন ড্রাইভ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। তারা পাহাড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান ও দ্রুত উদ্ধার অভিযান জোরদারের দাবি জানান।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘পরিবারগুলোর কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে– এমন খবর পেয়েছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে’
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানান, শিশুদের উদ্ধারে দিন-রাত পাহাড়ে অভিযান চলছে। প্রয়োজন হলে যৌথ অভিযানও পরিচালনা করা হবে।
টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, অপহৃত চার শিশুকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে টাস্কফোর্স। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডার্ক টু হোপ/এসএইচ